খুলনায় শিশু ধর্ষণের ঘটনায় ৬ জনকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছে আদালত
প্রকাশ: ০৮ নভেম্বর ২০২২, ০৯:৪২ অপরাহ্ন | সারাদেশ
মোঃ মোশারেফ হোসেন (খুলনা) :
খুলনায় শিশু (১৪) ধর্ষণ মামলায় ছয়জনকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একইসঙ্গে তাদের ২০ হাজার টাকা করে জরিমানা করা হয়েছে। এছাড়াও চার শিশুকে বিভিন্ন মেয়াদে সাজা দেওয়া হয়েছে।
মঙ্গলবার (০৮ নভেম্বর) দুপুরে খুলনার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৩ এর বিচারক আ. ছালাম খান এ রায় ঘোষণা করেন।
আদালতের রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী ফরিদ আহমেদ এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
মৃত্যুদন্ডপ্রাপ্ত আসামীরা হলেন, মোরশেদুল ইসলাম শান্ত ওরফে শান্ত বিশ্বাস (পলাতক), শেখ শাহাদাত হোসেন (পলাতক), মোঃ রাব্বি হাসান পরশ, মোাঃ মাহামুদ হাসান আকাশ, কজী আরিফুল ইসলাম প্রীতম(পলাতক) ও মোঃ মিম হোসেন।
মামলার এজাহার থেকে জানা যায়, ঘটনার দুইদিন আগে আসামি মোরশেদুল ইসলাম শান্তর সাথে ভিকটিমের পরিচয় হয়। পরিচয়ের সূত্র ধরে আসামি ২০১৯ সালের ২৯ জুন বিকেলে মোবাইল ফোনের মাধ্যমে ভিকটিমকে ডেকে নেয় শান্ত।
সাহেবের কবর খানায় উভয় এক সাথে মিলিত হয়। সেখান থেকে ভিকটিমকে নেওয়া হয় মামলার অপর আসামি নুরুন্নবীর সোনাডাঙ্গা থানাধীন বিহারী কলোনীর ভাড়া বাড়িতে। পরে ভিকটিমকে ইচ্ছার বিরুদ্ধে ধর্ষণ করে শান্ত। শান্তর ভিডিওটি ধারণ করে উপস্থিত অন্যান্যরা। পরে ভিকটিমকে ধারণকৃত ওই ভিডিওটি দেখিয়ে ভয়ভীতি দিয়ে অন্যান্যরা পালাক্রমে ধর্ষণ করে।
সাহেবের কবর খানায় উভয় এক সাথে মিলিত হয়। সেখান থেকে ভিকটিমকে নেওয়া হয় মামলার অপর আসামি নুরুন্নবীর সোনাডাঙ্গা থানাধীন বিহারী কলোনীর ভাড়া বাড়িতে। পরে ভিকটিমকে ইচ্ছার বিরুদ্ধে ধর্ষণ করে শান্ত। শান্তর ভিডিওটি ধারণ করে উপস্থিত অন্যান্যরা। পরে ভিকটিমকে ধারণকৃত ওই ভিডিওটি দেখিয়ে ভয়ভীতি দিয়ে অন্যান্যরা পালাক্রমে ধর্ষণ করে।
ধর্ষণ শেষে আসামিরা ভিকটিমকে প্রাণনাশের হুমকি দিয়ে সন্ধ্যার দিকে ছেড়ে দেয়। পরে ঘটনাটি ভিকটিম বড় বোনকে খুলে বলে। তাকে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ঘটনার পরেরদিন বড়বোন বাদী হয়ে সোনাডাঙ্গা থানায় ৯ জন আসামির নাম উল্লেখ করে মামলা দায়ের করেন, মামলা নং ২২। একই বছরের ১৩ নভেম্বর ১০ জন আসামির নাম উল্লেখ করে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সোনাডাঙ্গা থানার অফিসার ইনচার্জ মমতাজুল হক আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন।

